স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় বিস্তারিত জানুন।

স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় বিস্তারিত জানুন।বর্তমান সময়ে খাদ্য বা ব্যবহারের সব কিছুতে ভেজাল। এ সময় আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখা চ্যালেঞ্জ এর মতো হয়ে দারিয়েছে। তবে এ সময় নিজের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে এবং কিছু খাবার ও অভ্যাস বাদ দিতে হবে। আজকের এ আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করব আপনি যদি আপনার স্বাস্থ নিয়ে চিন্তিত হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের আর্টিকেল টি সম্পূর্ন পড়ুন এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। স্বাস্থ্য ভালো রাখার খাবার এর ব্যপারেও আমাদের সচেতন হতে হবে।

সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের দেশের মানুষের গড় আয়ু কমে যাচ্ছে মূলত এর কারণ আমরাই আমাদের চলাফেরা অভ্যাস এবং খাবার এর অপব্যবহারের জন্য আমাদের দেশের এই অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা নিজেরা সচেতন হলে বর্তমান সময়ের এই দুর্দশার হাত থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারবো আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সামনে সম্পূর্ণ বিষয় তুলে ধরব আমাদের সাথে থাকুন।স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ভূমিকা

স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় বিস্তারিত জানুন। এই আধুনিক যুগে এসে আমরা নিজেদের ঘুম খাবার অভ্যাস গুলো পরিবর্তন করে ফেলেছি শুধুমাত্র এর জন্যই আমাদের এত এত সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তবে আমার আই যদি আমাদের অভ্যাসের পরিবর্তন করি তাহলে আমাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে আমাদের সুষম খাবার এর পাশাপাশি শরীর চর্চা ব্যায়াম বিভিন্ন খেলাধুলা করতে হবে। এতে করে আমাদের শরীর ভালো থাকে। ব্যায়াম ও খেলাধুলা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ব্যায়াম করলে আমাদের শরীরের সকল অঙ্গ নড়াচড়া করে এতে করে শরীরের ব্যথা বা অলস ভাব থাকে না। আমরা স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় বিস্তারিত আলোচনা করব ধাপে ধাপে।

স্বাস্থ্য ভালো রাখার খাবার

স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে প্রথমেই খেয়াল করতে হবে খাবারের দিকে কারণ খাবার থেকে এখন বিভিন্ন রোগ জীবাণু ছড়াচ্ছে মূলত আমাদের খাবার সঠিক না। তাই আমাদের উচিত খাবার সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা। আমাদের খাবারের তালিকায় প্রতিদিন সবুজ শাকসবজি ও ফল এর বিকল্প নেই। তাই প্রতিদিন পরিমাণ মতো সবুজ শাকসবজি এবং বিভিন্ন দেশি ফল খাওয়ার চেষ্টা করবেন এবং আঁশযুক্ত খাবার বেশি খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

এবং লাল মাংস যেমন গরু,খাসি ও মহিষ এর মাংস আমাদের শরীরের জন্য খুবই খারাপ তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন গরুর মাংস খাসির মাংস ও মহিষের মাংস কম খাওয়ার যারা মাংস খেতে খুবই ভালোবাসেন বা মাংস ছাড়া চলে না তারা সাদা মাংস যেমন বিভিন্ন মুরগির মাংস খেতে পারেন।

মুরগির মাংসকে সাদা মাংস বলে। আমেরিকার এক গবেষণায় তারা এ কথা জানিয়েছেন। আশা করি সবাই বুঝতে পেরেছেন খাবারের আমাদেরকে কি কি খেতে হবে এবং কি কি বাদ দিয়ে খেতে হবে। তাহলেস্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় বিস্তারিত জেনে সে অনুসারে চলা যাবে।

সকালে খালি পেটে কি খেলে শরীর ভালো থাকে

সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পানি খেলে পেটের অনেক সমস্যা দূর হয় বিশেষ করে যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পানি পান করলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাই প্রাকৃতিকভাবে। পানি খাওয়ার ৩০ মিনিট পর এক চামচ মধু ও একটু কালোজিরা খেতে পারলে শরীরের জন্য খুব ভালো।

মধু আর কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম এক চামচ কালোজিরা মুখে দিয়ে চাবিয়ে নিতে হবে এরপর এক চামচ মধু খেয়ে নিতে হবে মধু ও কালোজিরা গুনাগুন বলে শেষ করা যাবে না। মধু কালোজিরা খাওয়ার ৩০ মিনিট পর সকালের নাস্তা করতে পারেন। আবার নাস্তা করার ৩০ মিনিট পরও চাইলে কালোজিরা ও মধু খেতে পারেন যদি খালি পেটে খেতে ভালো না লাগে এভাবে কিছুদিন খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং শরীর ভালো থাকবে সবসময়।



প্রতিদিন কি কি খাওয়া উচিত

স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে আমাদের প্রতিদিন নিয়ম বা রুটিন অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করতে হবে তাহলে শরীর সুস্থ থাকবে। শুধু রুটিন অনুযায়ী খাবার নয় বরং ঘুম ও বিশ্রাম এরও প্রয়োজন আছে সুতরাং সবকিছু নিয়ম অনুযায়ী করলে ফলাফল পাওয়া যাবে খুবই দ্রুত প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠার পর একগ্লাস পানি পান করুন।

তার ত্রিশ মিনিট পর রুটি বা খিচুড়ি দিয়ে নাস্তা সেরে ফেলুন এরপর দুপুরের খাবারের আগ পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন এবং মাঝখানে বিভিন্ন ফল খেতে পারেন এবং দুপুরের খাবারটা দুইটার মধ্যে খেয়ে ফেলুন দুপুর ঘুমানো খুবই জরুরি দুপুরের খাবারের সাথে অবশ্যই শাকসবজি জাতীয় খাবার থাকতে হবে এর সাথে বিভিন্ন মাছ খেতে পারেন এবং অবশ্যই খাবারের সাথে মসুর ডাল এড করবেন।

মসুর ডাল আমাদের শরীরের বিভিন্ন পুষ্টির অভাব দূর করে রাতের খাবার আটটা থেকে নয়টার মধ্যে খেয়ে ফেলা উত্তম এবং রাতের খাবারের সাথেও শাকসবজি ও ডাল থাকতে হবে এর সাথে মাছ বা মুরগির মাংস খেতে পারেন তবে গরুর মাংস খুব কম খাওয়ার চেষ্টা করবেন এভাবে নিয়মিত কিছু খাবার খেলে খুবই তাড়াতাড়ি স্বাস্থ্য ভালো হবে।

মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়

মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় বলতে হলে অবশ্যই মন কথাটা আসে মন ভালো না থাকে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে না। সুতরাং মানুষের শরীরের যেমন খাবার প্রয়োজন তেমনি মনেরও প্রয়োজন শান্তি বা নিজের শখের কোন কিছু করা সেটা যে কোন খেলা হতে পারে যেমন বিকেল টাইমে মাঠে গিয়ে খেলাধুলা করা বা নিরিবিলি কথা উঠে বসে থাকা।

শরীর চর্চা ও নিয়মিত ব্যায়াম করা মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার। আরো একটি বিষয় হল সঠিক ঘুম সঠিক ঘুম না হলে কোন কিছু করতে ভালো লাগেনা শরীর ম্যাজ ম্যাজ ভাব লাগে দুপুরে ঘুম থেকে ওঠার পর বিকেলে চা বা কফি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এবং মানসিক শান্তি নিজের মন শান্ত রাখতে হবে নিজের ভালোলাগার উপর প্রাধান্য দিতে হবে যেটা করতে ভালো লাগে সে কাজ করতে হবে মানসিক শান্তি না থাকলে কখনোই মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে না তাই এই বিষয়ের উপরে আমাদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায়

শারীরিক ও মানসিক দুই ভাবে আমাদের সুস্থ থাকতে হবে তাছাড়া আমরা পরিপূর্ণ সুস্থ হতে পারবো না। তাই অবশ্যই শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শারীরিক সুস্থতা আমাদের খাবার বিশ্রাম ব্যায়াম ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে এবং মানুষের সুস্থতা নিজের শখ খেলাধুলা বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ পিকনিক বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়া ইত্যাদি বিষয়ের উপর নির্ভর করে।

মানসিক সুস্থতা অবশ্যই আমাদের মানসিক সুস্থতার উপরেও প্রাধান্য দিতে হবে শুধু শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকলে পুরোপুরি সুস্থ হিসাবে গণ্য হবে না এর জন্য অবশ্যই জরুরি মানসিক সুস্থতা। মানুষের সুস্থতা না থাকলে কোন কাজ ভালো লাগেনা কোন কিছুই ভালো লাগেনা সুতরাং শারীরিক সুস্থতা ও মানসিক সুস্থতা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং শারীরিক সুস্থতা ও মানসিক সুস্থতা একে অপরের পরিপূরক বলা যায়।



আজীবন সুস্থ থাকার উপায়

আজীবন সুস্থ থাকার উপায় এর কথা বলতে গেলে মূলে আসে আমাদের অভ্যাসের পরিবর্তন। বর্তমান যুগে আমরা এমন হয়ে গেছি আমাদের চলাফেরা ও খাবারের অবস্থা খুবই খারাপ ফাস্টফুড ও বিভিন্ন আজেবাজে খাবারের প্রতি আসক্ত হয়ে গেছে আমরা এবং দিন প্রতিদিন এটা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আমাদের বাসার বাচ্চারা প্রতিদিন ফাস্টফুড ছাড়া চলে না। সুতরাং আমাদের প্রথমেই আমাদের অভ্যাসের পরিবর্তন করতে হবে আমরা যেগুলা খাবার খায় তা পরিবর্তন করতে হবে। বাইরের খাবার খাওয়ার অভ্যাস কমিয়ে নিতে হবে এবং অভ্যাস করতে হবে বাড়ির খাবার খাওয়া। এবং এরই সাথে আমাদের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখতে হবে আমাদের ওজনের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

যেন ওজন অতিরিক্ত বেশি না হয়ে যায় অতিরিক্ত বেশি হলে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে অলসতা কাটিয়ে উঠতে হবে মানসিক চিন্তা থাকলে তা দূর করতে হবে মস্তিষ্ক শান্ত ঠান্ডা রাখতে হবে এবং আমাদের কোন বদ অভ্যাস রাখা যাবে না যেমন ধূমপান বা অন্য কোন নেশা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং আমাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে এবং চেকআপ করতে হবে শরীরে কোন প্রবলেম হচ্ছে কিনা এটা নিয়মিত করতে হবে যেমন বছরে একবার এভাবে চলতে পারলে আমরা সব সময় সুস্থ থাকবো।


আমাদের মন্তব্য
এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের সামনে স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় বিস্তারিত আলোচনা। করলাম আশা করি পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং উপকৃত হয়েছেন আমরা আমাদের আর্টিকেলে সম্পূর্ণ বিষয় ধাপে ধাপে তুলে ধরেছি আশা করি আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে সম্পূর্ণ বুঝতে পেরেছেন।


এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার যদি আমাদের আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই রীতিমতো আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন ধন্যবাদ। আশা করি স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

গ্রুপ বাংলা ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url